Wednesday, September 17, 2025

ফ্যা’সিবাদ প্রতিষ্ঠার কাজে সরাসরি কারা জড়িত ছিল জানা গেল

আরও পড়ুন

জুলাই-গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, মহান জুলাই ২০২৪ বিপ্লবে বাংলাদেশের ইতিহাসে নিকৃষ্টতম এক ফ্যাসিস্ট শাসকের পতন হয়েছে। এই ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হয়েছিল একটি মেটিকুলাস প্ল্যানিংয়ের মাধ্যমে। সেই প্ল্যানিংয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদের সঙ্গে একটি বিদেশি শক্তি জড়িত ছিল।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ অটোমেটিক তৈরী হয় নাই, পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার পেছনে ভারত সরকার এবং বাংলাদেশের তৎকালীন সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদ সরাসরি জড়িত ছিল। এছাড়া জবানবন্দিতে আওয়ামী দুঃশাসনের পুরো চিত্র তুলে ধরেন মাহমুদুর রহমান। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জবানবন্দি দেন মাহমুদুর রহমান।

জবানবন্দিতে তিনি ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর আত্মজীবনীমূলক বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, প্রণব মুখার্জী পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৮ সালে তৎকালীন সেনা প্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের সাথে দিল্লীতে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে তারা চুক্তি করেছিলেন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর। বিনিময়ে মঈন ইউ আহমেদকে চাকরির নিশ্চয়তা, আর্থিকভাবে লাভবান ও নিরাপদভাবে দেশ ছেড়ে যাবার সুযোগ করে দেওয়া হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরবর্তী ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভূমিধ্বস বিজয় হয়েছিলো। নির্বাচনে এই ফল হওয়ার পিছনে জেনারেল মঈন এবং ডিজিএফআইয়ের প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিলো।

সোমবার দুপুর সাড়ে এগারোটা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত জবানবন্দি দেন মাহমুদুদর রহমান। মধ্যখানে এক ঘন্টার বিরতি দেওয়া হয়। এদিন মাহমুদুর রহমানকে বেশ উৎফুল্ল দেখাচ্ছিল। ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো একের পর এক বর্ণনা করছিলেন। এসময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী। মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমিন প্রমুখ।

চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। মাহমুদুর রহমানের জবানবন্দি অসমাপ্ত অবস্থায় মঙ্গলবার (আজ) পর্যন্ত মুলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের বাকি দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মো.মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে এই জবানবন্দি দেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক। এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এ মামলার অপর দুই আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক আছেন।

এদিকে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে আশুলিয়ায় ৬ লাশ পুড়ানোর মামলায় দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

আরও পড়ুনঃ  ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশসহ ৬ দেশ

জবানবন্দি শেষে মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের এক তরফা তিনটি নির্বাচন সাবেক সেনা প্রধানরা মেনে নিয়েছিলেন। শুধু মেনে নেননি, তারা ফ্যাসিলিটেট করেছেন। এমনতো নয়, সেনাবাহিনী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই। সেনাবাহিনী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাকে- তাহলে তাদের নৈতিক দায় নিতে হবে। লিগ্যাল দায় তারা নিবেন কি, নিবেন না, এটা ভিন্ন আলোচনা, কিন্ত নৈতিক দায় তারা অবশ্যই নিতে হবে। তারা তো তখন বলতে পারতেন, ঠিক আছে আপনি (শেখ হাসিনা) এক তরফা নির্বাচন করবেন করেন, কিন্তু সেনাবাহিনী এর সঙ্গে জড়িত হবেনা। মাহমুদুর রহমান বলেন, এই আদালতে আগেও বিচার হয়েছে। কিন্তু সেটা বিচারের নামে প্রতিহিংসার প্রতিফলন ঘটেছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যে বিচার হচ্ছে তাতে যেন কোনো ত্রুটি না থাকে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় এই জন্যই আমি আজ সাক্ষ্য দিতে এসেছি। তিনি আরো বলেন, আমি একটি ইতিহাস রেখে যেতে চাই। ফ্যাসিস্ট কবলিত বাংলাদেশ কেমন ছিল সেটা যেন ভবিষ্যৎ প্রজš§ জানতে পারে। বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেই আমি সাক্ষ্য দিতে এসেছি। মাহমুদুর রহমান আরো বলেন, আমার একাধিক পরিচয় আছে। আমি একটি পত্রিকার সম্পাদক। সেই সঙ্গে আমি লেখালেখিও করি অর্থাৎ লেখক। এছাড়াও আমি একজন ইতিহাস গবেষক। এই তিনটি পরিচয় দিয়েই আমি বাংলাদেশকে দেখার চেষ্টা করছি।

মাহমুদুর রহমান তার জবানবন্দিতে বলেন, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, বাংলাদেশে একটি ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করতে হলে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে দুর্বল করা আবশ্যক। কারণ, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর মোরাল যদি উচ্চ থাকে, তাহলে তারা কোনো অবস্থাতেই একটি বিদেশি শক্তির ইঙ্গিতে দেশে কোনো পুতুল সরকারকে মেনে নেবে না। সুতরাং শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হওয়ার মাত্র দুই মাসের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। এই পরিকল্পনায় শেখ পরিবারের সদস্য ও শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস সরাসরি জড়িত ছিলেন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে থেকে বিডিআরের কিছু সদস্যের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তাপসসহ অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতা বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পরিস্থিতি তৈরি করেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে তাপসের জড়িত থাকার সব প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাকে কখনো বিচারে মুখোমুখি করা হয়নি। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে শেখ হাসিনার সেনাবাহিনীর প্রতি একধরনের ঘৃণা ছিল। শেখ হাসিনার সেনাবাহিনীবিদ্বেষ বাকশালের পতনের সময় থেকে শুরু হয়েছিল। সেই সময় সেনাবাহিনীর একাংশ, যারা সকলেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তাদের বিদ্রোহে একদলীয় বাকশাল শাসনের পতন হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে শেখ মুজিবের মধ্যেও সেনাবিদ্বেষ ছিল।

আরও পড়ুনঃ  জাকসু নির্বাচন চরম হুমকির মুখে: শিবির সমর্থিত প্যানেল

অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের ‘বাংলাদেশ: আ লিগ্যাসি অব ব্লাড’ বইয়ের প্রসঙ্গ জবানবন্দিতে টানেন মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, এই সাংবাদিক (মাসকারেনহাস) শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত বন্ধু ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান মাসকারেনহাসকে বলেছিলেন, তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানের মতো একটি দানব সেনাবাহিনী সৃষ্টি করতে চান না। এই পারিবারিক সেনাবিদ্বেষের কারণে শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড ও মোরাল সম্পূণরূপে ভেঙে যাক।

বিচার চলাকালে আপনি দাঁড়াইয়া যাবেন আর আমি বসাইয়া দিমু: স্কাইপ কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ টেনে মাহমুদুর রহমান বলেন, শাপলা চত্বরে গণহত্যার কিছুদিন আগে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। তখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার চলছিল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ছিলেন নিজামুল হক নাসিম। তিনি বিচারের নামে যে অবিচার করেছিলেন তার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপিয়েছিল দৈনিক আমার দেশ ও লন্ডনের দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকা। নিজের বেঞ্চের মামলা নিয়ে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি নাগরিক জিয়া উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতেন বিচারপতি নিজামুল হক। তাদের স্কাইপ কথোপকথনের প্রমাণ ও ইমেইল আমার দেশ ও ইকোনমিস্টের কাছে পৌঁছায়।

সেই কথোপকথনে দেখা যায়, একটি তামাশায় পরিণত হয়েছিল পুরো বিচারপ্রক্রিয়া। সাক্ষীর জেরার প্রশ্নোত্ত্বর থেকে শুরু করে খসড়া রায় লিখে দেওয়া পর্যন্ত বিচারপতি নিজামুল, বিদেশে থাকা জিয়া উদ্দিন ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল-মালুম নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে আগে থেকেই নির্ধারণ করেছেন। এর একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। সেটি হলো, জেয়াদ আল-মালুমকে আগে থেকেই বিচারপতি নিজামুল বলতেন, বিচার চলাকালে তিনি যেন মাঝেমধ্যে দাঁড়িয়ে অবজেকশন জানান। পরে তাকে বসিয়ে দেবেন বিচারপতি নিজামুল। ভাষাটা এমন ছিল- ‘আপনি দাঁড়াইয়া যাবেন আর আমি বসাইয়া দিমু। সবাই মনে করবে আমাদের খাতির নেই।’

বিচারপতি নিজামুলের পদোন্নতির বর্ণনাও দেন আমার দেশ সম্পাদক। তিনি বলেন, আপিল বিভাগের তৎকালীন বিচারপতি এসকে সিনহার কাছে অনেকবার নিজের পদোন্নতির জন্য আবদার করেছিলেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিজামুল হক। জবাবে সিনহা বলেছেন, ‘পদোন্নতির আগে কয়েকটি রায় দিয়ে আসতে হবে।’ কেননা তৎকালীন আইনমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিনহার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। সবমিলিয়ে স্কাইপ ও ই-মেইলে পাওয়া সব নথিই পরিষ্কার করেছিল এসব মামলার রায় পূর্ব নির্ধারিত। জনগণকে বোকা বানানোর জন্য বিচারের নাটক করা হয়েছিল। তবে এ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর পদত্যাগে বাধ্য হন বিচারপতি নিজামুল।

মাহমুদুর রহমান বলেন, পদত্যাগ করলেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়নি ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন এই চেয়ারম্যানকে। উল্টো তাকে পুরস্কার হিসেবে কিছুদিনের মধ্যে হাইকোর্টে বেঞ্চ দেওয়া হয়। এরপর পদোন্নতি দিয়ে আপিল বিভাগে নেওয়া হয়। এমনকি বিচারপতির চাকরি থেকে অবসরের পর তাকে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান করা হয়। অর্থাৎ জনগণকে ফ্যাসিস্ট সরকার বুঝিয়ে দিলো যে, সবরকম অন্যায় করার অধিকার তাদের রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ‘ভারতীয় নাগরিক’ পাবনার এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক!

দেশে মব কালচার প্রতিষ্ঠা করে গণজাগরণ মঞ্চ: মাহমুদুর রহমান বলেন, শাহবাগে প্রতিষ্ঠিত গণজাগরণ মঞ্চে বিচারের দাবির পরিবর্তে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য সরকারের সহযোগিতায় বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিশ্বের সব ফ্যাসিস্ট সরকারই জনগণকে উš§াদনা করার জন্য একটি পাবলিক এনিমি কনসেপ্ট বা গণশত্রু তৈরি করে; যা ইতিহাসে আমরা দেখতে পাই। হিটলারের জার্মানিতে প্রথমে কমিউনিস্ট ও পরবর্তীতে বিরোধী ঘরানার লোকদের এভাবেই গণশক্তি হিসেবে অবিহিত করে প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়েছিল। বাংলাদেশ একইভাবে ২০১৩ সালে শাহবাগে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে নির্মূল করতে দিনের পর দিন বিক্ষোভের আয়োজন করে সরকার।

তিনি বলেন, শাহবাগের বিক্ষোভকারীদের নির্দেশে পরিচালিত হতে থাকে তৎকালীন সরকার। তাদের নির্দেশে সচিবালয় থেকে কর্মকর্তারা দাঁড়িয়ে ফাঁসির দাবিতে সমর্থন জানাতে বাধ্য হন। এমনকি সংসদে দাঁড়িয়ে শাহবাগী উদ্যোক্তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি মানসিকভাবে শাহবাগে থাকতেন। এছাড়া ভারতীয় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশ সফরে এসে বলেন- প্রটোকল না আটকালে তিনি নিজেও শাহবাগে দাঁড়িয়ে সংহতি প্রকাশ করতেন। আর এতেই প্রমাণিত হয় যে শাহবাগের এই তথাকথিত আন্দোলনে ভারতের পূর্ণ সমর্থন ছিল।

এই সম্পাদক আরও বলেন, শাহবাগের উদ্যোক্তাদের ইসলাম বিদ্বেষী চেহারা প্রকাশিত হতে থাকলে এর প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের উত্থাপন হয়। গণজাগরণ মঞ্চে ফাঁসির দাবির বাইরেও যেসব গণমাধ্যম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের বিবেচনায় ভিন্নমতের ব্যক্তিদের মালিকানাধীন; সেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবিও জানান। ফলে ন্যায়বিচার না করে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবির মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়ায় ফ্যাসিবাদের চরিত্র উন্মোচিত হয়। আর এসব নিয়ে দেশের মানুষকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে সতর্ক করার চেষ্টা করে আমার দেশ। শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শিরোনামে সংবাদও প্রকাশ করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের বিপদ সম্পর্কে অবহিত হন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদরে বলেন, তিনি আশা করছেন, মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ার পর আর দুই-একজন সাক্ষ্য প্রদান করার মাধ্যমে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত হবে। সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত হলে বিচারের যে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আছে, সেই প্রক্রিয়ায় বিচারটি সমাপ্তির দিকে ধাবিত হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ