Wednesday, September 17, 2025

‘ভারতীয় নাগরিক’ পাবনার এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক!

আরও পড়ুন

ভারতের নাগরিক হয়েও পাবনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি করছেন সুখরঞ্জন নামে এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, জালিয়াতি করে শ্বশুরের নামে লিজ নেওয়া সরকারি সম্পত্তি দখলেরও অভিযোগ উঠেছে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত সুখরঞ্জন চক্রবর্তী পাবনা সদর উপজেলার বালিয়াহালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র ও আধার কার্ড হিসেবে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দক্ষিণ ব্যারাকপুর শহরের দমদমের সূর্যসেন পল্লি, ৪৬৭ এলাকার নির্মল কুমারের ছেলে। বর্তমানে পাবনা শহরের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের পার্বতীগঞ্জ পাড়ার বাসিন্দা হিসেবে তার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। সুখরঞ্জন চক্রবর্তীর ভারতীয় পরিচয়পত্রের তালিকাভুক্তির নাম্বার ০০০০/০০৮০২/৭৬৩৯৭ এবং আধার কার্ডের নাম্বার ৪০৫০২২৩৪৩৩৫১।

আরও পড়ুনঃ  মধ্যরাতে বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন-ভাঙচুর ও লুটপাট

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুখরঞ্জন ভারতের নাগরিক। সেখানে জমিজমা কিনেছেন তিনি। ফ্ল্যাটবাড়িও রয়েছে তার। তার স্ত্রী ও এক ছেলে ভারতেই থাকেন। ছোট ছেলে বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় ভাতা পান এবং এজন্য তাকে নিয়ে তিনি পাবনায় থাকেন। পরিবারের সঙ্গে যোগ দিতে মাঝেমধ্যে লম্বা ছুটি নিয়ে তিনি ভারতে যান। সুখরঞ্জনের শ্বশুর দীপক কুমার রায়ের নামে সরকারি লিজ নেওয়া সম্পত্তি জালিয়াতি করে নিজের নামে নেওয়ার চেষ্টা করছেন- এমন অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুনঃ  ছাত্রদলের হামলায় আহত শিবির সভাপতিকে দেখতে গেলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা

সুখরঞ্জন চক্রবর্তীর শ্যালক সুমন কুমার রায় বলেন, আমার বাবা শহরের মুরগিপট্টিতে সরকারি জমি লিজ নিয়ে বসবাস করতেন। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমার মায়ের নামে লিজ দেওয়া হয়। মা মারা যাওয়ার পর কাউকে না জানিয়ে শুধুমাত্র আমার বোনকে একমাত্র উত্তরসূরি বানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। এমনকি পৌরসভাতেও আমার একমাত্র বোনকে উত্তরসূরি বানিয়ে আবেদন দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমার বাড়িতে বসবাস করে এখন আমাকেই বাড়িছাড়া করার অপচেষ্টা করছেন তিনি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল কবীর অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, কাগজপত্রও পেয়েছি। আমি সংশ্লিষ্টদের তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই ব্যবস্থা নিতে পারব।

আরও পড়ুনঃ  জাকসু নির্বাচন চরম হুমকির মুখে: শিবির সমর্থিত প্যানেল

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সুখরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা, এসব কাগজপত্র বানানো যায়। আমার স্ত্রী-সন্তানরা ওর ভাইয়ের সঙ্গে ঝামেলা করে ভারতে চলে গেছে। তাদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আমি আনার চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা আসে না। আমার বিরুদ্ধে তদন্ত হলে আমি সব ডকুমেন্টস দেখাতে পারব।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ